বলরাম বা নিত্যানন্দের গুণকীর্তন ফলেই কৃষ্ণের বা চৈতন্যের গুণ-কীর্তনে যোগ্যতা—
অতএব আগে বলরামের স্তবন।
করিলে সে মুখে স্ফুরে চৈতন্য-কীর্তন ॥১৪॥
বলরামের স্তবন,—ভা ৫/১৭/১৭-২৪ শ্লোকে শ্রীমৎ সঙ্কর্ষণের প্রতি ভবানীনাথের স্তব, ভা ৫/২৮/১-১৩ শ্লোকে পরীক্ষিতের নিকট শ্রীশুকদেবকর্তৃক শ্ৰসঙ্কৰ্ষণ-স্তবোক্তি বর্ণন এবং ভা ৬/১৬/১৭-২৫ শ্লোকে চিত্রকেতুর নিকট শ্রীনারদের শ্রীসঙ্কৰ্ষণ মহিমময়ী মহাপনিষদ্বিদ্যা-প্রদান, ঐ অধ্যায়ে ৩৪-৪৮ শ্লোকে চিত্রকেতুকর্তৃক শ্ৰসঙ্কৰ্ষণ-স্তব, বিষ্ণুপুরাণে ৫ম অং ৯ম অঃ ২২-৩১ শ্লোকে শ্রীকৃষ্ণকর্তৃক শ্রীবলদেব-স্তব প্রভৃতি দ্রষ্টব্য। এই সব শাস্ত্রবাক্য বিচার করিলে জানা যায় যে, ‘সাত্বতশাস্ত্রবিগ্রহ’ শ্ৰীমন্নিত্যানন্দ-রামের স্তব অর্থাৎ নামগুণানুকীর্তনফলেই জীবের অবিদ্যা-জনিত অচেতন উপাধি বা বন্ধন নষ্ট হয়॥ তখন শুদ্ধজীব শ্রীনিত্যানন্দরামকে গুরুজ্ঞানে স্তুতি-পুরঃসর তাহারই আনুগত্যে অপ্রাকৃত-সেবোন্মুখী জিহ্বায় স্বীয় অভীষ্টদেব ও উপাস্য। শ্রীকৃষ্ণচৈতন্যের কীর্তন করিতে থাকেন ।