(১৮) জগন্মাতা মহালক্ষ্মীর বেশে নৃত্য —
মধ্যখণ্ড, রুক্মিণীর বেশে নারায়ণ।
নাচিলেন, স্তন পিল সর্বভক্তগণ ॥
রুক্মিণীদেবী,—মহালক্ষ্মী ও শ্রীকৃষ্ণের বৈধপত্নী মহিষী; তিনি--জগন্মাতা। ধারণ-পোষণ-লীলাময় পরমাত্মা—আত্মতত্ব ও মাতৃত্ব বৃত্তি-প্রকাশকারী;তিনি বাৎসল্যবিচারে স্বাশ্রিতগণকে দুগ্ধ পান করাইয়াছিলেন। “কৃষ্ণ-মাতা, কৃষ্ণ পিতা, কৃষ্ণ-ধন প্রাণ”; এইজন্য কৃষ্ণই সকললীলার আকর। তাই বলিয়া সকলেই কৃষ্ণকে মাতৃসজ্জায় পরিগণিত ও ভূষিত করিয়া তাঁহার নিকট হইতে যে নিজ-ভোগময়ী সেবা গ্রহণ করিবেন, এরূপ নহে। কৃষ্ণ-অধোক্ষজ-বস্তু, সুতরাং নশ্বর জগতের সেবিকারুপিণী জননীর হেয়তা তাঁহাকে স্পর্শ করিতে সমর্থ হয় না। অক্ষজ জ্ঞান-বিমূঢ় ভাগিশাক্তেয়-সম্প্রদায় কামনার বশবর্তী হইয়া আপনাকে পুত্র কল্পনাপূর্বক নিত্যসেব্য বিষয়বিগ্রহ ভগবদ্বস্তু হইতে যে সেবাগ্রহণের কু-ধারণা প্রদর্শন করেন, তাহা জীবের নিত্য-ভজনীয় বস্তুতে সংলগ্ন হইতে পারে না।