মহারত্ন থুই যেন মহাপ্রিয়স্থানে।
যশোরত্ন-ভাণ্ডার অনন্ত বদনে ॥১৩॥
থুই,—এ-স্থলে, ‘থোয়’ (স্থাপন করে), এই অর্থে ব্যবহৃত। যেরূপ অত্যন্ত বিশ্বাসভাজন অন্তরঙ্গ ব্যক্তির নিকটই লোকে বহুমূল্য রত্নাদি গচ্ছিত রাখে, তদ্রূপ অভিন্ন-ব্রজেন্দ্রনন্দন মহাপ্রভু শ্রীগৌরসুন্দরও শ্রীবলদেব-নিত্যানন্দ প্রভুর কলা স্বরূপ শ্ৰীঅনন্তদেবের সহস্ৰমুখে কীর্তনাখ্যা-ভক্তিদ্বারা সংসেবিত হইবার জন্য তাঁহার গুণলীলার অনন্তভাণ্ডার (শ্ৰীভাগবত) গচ্ছিত রাখিয়াছেন।
শ্ৰীঅনন্ত,—(ভা ৫/২৫/১ম শ্লোকে পরীক্ষিতের প্রতি শ্ৰীশুকোক্তি) “তস্য মূলদেশে ত্রিংশদ্যোজনসহস্রান্তর আস্তে যা বৈ কলা ভগবতস্তামসী সমাখ্যাতা অনন্ত ইতি’’ অর্থাৎ পাতালের তলদেশে ত্রিংশৎসহস্ৰযোজন অন্তরে ভগবানের এক তামসী কলা আছেন, তাঁহার নাম ‘শ্রীঅনন্ত’ (বস্তুতঃ, এই মূর্তি-বিশুদ্ধসত্তময়ী; তমোগুণাবতার রুদ্রের অন্তর্যামিরূপে বিশ্বের সংহারাদি করেন বলিয়া এই মূর্তি---‘তামসী’ নামে আখ্যাত)। ভা ৫/১৭/১৭ শ্লোকের শ্রীমধ্বভাষ্যধৃত ব্ৰহ্মণ্ডপুরাণবচন— “অনন্তান্তঃস্থিতো বিষ্ণুরনন্তশ্চ সহামুনা’’। বিষ্ণু-পূঃ ২য় অং ৫ম অঃ ১৩-২৭ শ্লোকে ভুধারী শ্রীশেষ বা অনন্তদেবের অপরিমেয় বীর্য, সর্বভক্তনমস্যতা, সহস্রফণা বা শির, লাঙ্গল ও মুষলায়ুধ, অতিবিশাল আকার প্রভৃতি বৈভব বর্ণিত আছে।