Normal view
Book Lang.: বাংলা
English
संस्कृता वाक्
Translation

শ্লোক ১২

Language: বাংলা
Language: English Translation
  • নিত্যানন্দ বা বলরামপ্রভু কর্তৃক স্বীয় কলাঅনন্তবাশেষস্বরূপে তৎপ্রভু গৌরকৃষ্ণের গুণ-কীর্তনরূপ সেবা

    সহস্রবদন বন্দোঁ প্রভু-বলরাম
    যাঁহার সহস্ৰমুখে কৃষ্ণশোধাম ১২

    বলরাম,—(ভা ১০/২/১৩ শ্লোকে যোগমায়ার প্রতি ভগবানের উক্তি—) “রামেতি লোকরমণাদ্‌বলং বলবদুচ্ছ্র য়াৎ’’

    অর্থাৎ আমার প্রতি লোকের রতি প্রকট করাইয়া থাকেন বলিয়া শ্রীবলদেবকে ‘রাম’ এবং বলের উৎকর্ষহেতু তাঁহাকে ‘বল’ বলিয়া সকলে সম্বোধন করিবে।

    (চৈঃ চঃ আদি ৫ম পঃ ১১৬-১১৭ ও ১২০-১২২ সংখ্যায়-) “সেই বিষ্ণু হয় যাঁর অংশাংশের অংশ। সেই প্রভু নিত্যানন্দ সর্ব-অবতংস॥ সেই বিষ্ণু ‘শেষ'-রূপে ধরেন ধরণী। কাহা শিরে আছে মহী,—হেন নাহি জানি ॥’’ * *

    ** সেই ত’ ‘অনন্ত’ ‘শেষ’-ভক্ত-অবতার। ঈশ্বরের সেবা বিনা নাহি জানে আর॥ সহস্ৰবদনে করে কৃষ্ণগুণ গান। নিরবধি গুণ গাহেন, অন্ত নাহি পা’ন॥ সনকাদি ভাগবত শুনে যাঁর মুখে। ভগবানের গুণ কহে, ভাসে প্রেম-সুখে॥’’

    যশোধাম,  “নিখিল অপ্রাকৃত সদ্‌গুণ-কীর্তিরাশির নিলয় ও ভাণ্ডার।

    এস্থলে দ্রষ্টব্য এই যে, স্বয়ংপ্রকাশবিগ্রহ দ্বিভুজ হলধর নরবপুশ্রীনিত্যানন্দ-বলদেবপ্রভু ভক্তস্বরূপে অনুক্ষণ গৌরকৃষ্ণসেবারত থাকিয়া কৃষ্ণপ্রেমানন্দ বর্ধন করিলেও এস্থলে তাঁহারই ‘অংশকলা’-স্বরূপ ভূধারী সহস্রবদন অনন্তদেব বা শ্রীশেষের সহস্রমুখে নিরন্তর স্বীয় আরাধ্য শ্রীগৌরগুণকীর্তনরূপ অতুলনীয় সেবা সামর্থ্য বর্ণিত হইতেছে। তিনি চতুঃসনাদি ব্রহ্মর্ষিগণের নিকট অনুক্ষণ শ্রীমদ্ভাগবত ব্যাখ্যা করিতেছেন। গৌরকৃষ্ণলীলা-বর্ণনসূত্রে তিনি —ব্যাসাবতার শ্রীগ্রন্থকারের ‘গুরু’ বা প্রভু।

    শ্রীঅনন্তদেবের সহস্ৰমুখে কৃষ্ণযশোময় ভাগবতকীর্তন,ভা ৬/১৬/৪০ ও ৪৩ শ্লোকে শ্ৰীসঙ্কর্ষণের প্রতি শ্ৰীচিত্রকেতুর স্তবোক্তি) “জিতমজিত তলা ভবতা যদাহ ভাগবতং ধর্মমনবদ্যম্‌। নিষ্কিঞ্চনা যে মুনয় আত্মারামা যমুপাসতেঽপবর্গায় ॥’’ ** “ন ব্যভিচরতি তবেক্ষা যয়া হ্যভিহিতো ভাগবতো ধর্মঃ। স্থিরচরসত্ত্বকদম্বেষ্ব পৃথগ্‌ধিয়ো যমুপাসতে ত্বাৰ্যাঃ॥’’ অর্থাৎ, “হে অজিত, (সনৎকুমারাদি) নিষ্কিঞ্চন আত্মারাম মুনিগণ (ভগবৎপ্রেমরূপ) অপবর্গের নিমিত্ত যাঁহার উপাসনা করেন, সেই আপনি যখন অনিন্দ্য (বিশুদ্ধ) শ্ৰীভাগবতধর্ম কীর্তন করিতেছেন, তখন আপনারই জয় (সর্বোৎকর্ষ) লাভ হইয়াছে। * * আপনার যে দৃষ্টি কখনও পরমার্থকে পরিত্যাগ করে না, সেই দৃষ্টিদ্বারাই আপনি শ্রীভাগবতধর্ম কীর্তন করিয়াছেন, অতএব স্থাবর জঙ্গম প্রাণিসমূহে সমবুদ্ধি পণ্ডিত ভাগবতগণ ঐ ধর্মেরই উপাসনা করেন।’’

    পাঠান্তরে, ‘কৃষ্ণযশোধাম’ অর্থাৎ কৃষ্ণের (অলৌকিক) যশের আধার (শ্রীমদ্ভাগবত)।

Page execution time: 0.0347988605499 sec