আদিলীলা-সম্বন্ধে গ্রন্থকারের ভবিষ্যদ্বাণী —
আদিখণ্ডে, আছে কত অনন্ত বিলাস।
কিছু শেষে বর্ণিবেন মহামুনি ব্যাস ॥১১৭॥
ভগবানের অসংখ্য লীলাবিলাস মহামুনি শ্রীব্যাস বর্ণন করিয়া থাকেন; শ্রীগৌরসুন্দরের যে-সকল লীলা এই গ্রন্থে লিখিত হইয়াছে, তদ্ব্যতীত আরও কতিপয় লীলা বেদবিভাগকর্তা ব্যাসোপম জনগণ বর্ণন করিবেন। যাঁহারা ভগবান্ গৌরসুন্দরের লীলা বর্ণন করেন, তাঁহারাও ব্যাস পারম্পর্যে ব্যাসাসনে উপবিষ্ট ভগবল্লীলা-লেখক ‘ব্যাস’। ইতর-মুনিগণ ভগবল্লীলা ব্যতীত অন্য কথা বর্ণন করেন; কিন্তু শ্ৰীব্যাস ভগবানের কথা ব্যতীত ইতর-কথা বর্ণন না করায় তিনিই মহামুনি; আর অপরাপর মুনিগণ নামে মাত্র ‘মুনি—ব্যাসের ন্যায় ‘মহামুনি’ নহেন।“কৃষ্ণেতর কথা-‘বাগ্বেগ’তার নাম’’; সেই বাক্যকে যিনি কৃষ্ণ সেবার্থ দণ্ডিত করেন, তিনিই যথার্থ ‘মুনি’॥
‘বর্ণিবেন’,—এই ভবিষ্যৎপদপ্রয়োগে মহামুনি ব্যাসের অনুগ ব্যাসগণের অধিষ্ঠানে অক্ষজ-জ্ঞানাবলম্বিগণের সন্দেহ উপস্থিত হয়॥১১৭॥