(২১) গয়ায় গমন ও গুরুত্বে বরণ-পূর্বক ঈশ্বরপুরীপাদকে কৃপা—
আদিখণ্ডে গয়া গেলা বিশ্বম্ভর রায়।
ঈশ্বরপুরীরে কৃপা করিলা যথায় ॥১১৬॥
প্রভূ পিতৃপ্রয়াণে গয়ায় শ্রাদ্ধ করিবার জন্য তথায় গিয়াছিলেন। সেই হরিপাদপদ্মাঙ্কিত গয়াভূমিতে শ্ৰীমন্মধ্ব সম্প্রদায়ভুক্ত শ্ৰীমাধবেন্দ্রপুরীপাদের প্রিয়শিষ্য শ্রীপাদ ঈশ্বর পুরীকে গুরুত্বে বরণ করিয়া প্রভু অশেষ কৃপা করিয়াছিলেন।
শ্রীঅদ্বৈতাচার্য-তনয় শ্রীগদাধরানুগ শ্রীঅচুত্যতানন্দপ্রভু পিতা-অদ্বৈতপ্রভুর প্রশ্নের উত্তরে বলেন,—“চৌদ্দভুবনের গুরু চৈতন্য গোসাঞি। তাঁর গুরু-ঈশ্বরপুরী, কোন শাস্ত্রে নাই॥’’ অনেকে নির্বুদ্ধিতা করিয়া মূঢ়তাবশত অক্ষজ ঐতিহ্যজ্ঞানে শ্ৰীঈশ্বর-পুরীর শিষ্য বলিয়া গৌরসুন্দরকে অভিহিত করেন; কিন্তু বৈষ্ণবরাজ ঠাকুর-শ্ৰীবৃন্দাবনদাস তাদৃশ মোহান্ধ জনগণের বিপদুদ্ধারণ হইয়া প্রভুর কৃপাপাত্ররূপেই ঈশ্বরপুরীকে এস্থলে নির্দেশ করিলেন ॥১১৬॥