ভক্ত-পূজাতেই বিঘ্ননাশ ও অভীষ্ট-সিদ্ধি—
এতেকে করিলুঁ আগে ভক্তের বন্দন॥
অতত্রব আছে কাৰ্য্যসিদ্ধির লক্ষণ ॥১০॥
আদিপুরাণ-বাক্য—“যে যে ভক্তজনাঃ পার্থ ন মে ভক্তাশ্চ তে জনাঃ। মদ্ভক্তানাঞ্চ যে ভক্তাস্থে মে ভক্ততমা মতাঃ॥’’ (ভাঃ ৩/৭/২০)—“দুরাপা হ্যল্পতপসঃ সেবা বৈকুষ্ঠবর্ত্মসু। যত্ৰোপণীয়তে নিত্যং দেবদেবো জনার্দনঃ॥’’ পাদ্মোত্তরবচন—“অচয়িত্বা তু গোবিন্দং তদীয়ান্নার্চয়েত্তু যঃ ন স ভাগবতো জ্ঞেয়ঃ কেবলং দাম্ভিকঃ স্মৃতঃ॥ তস্মাৎ সর্বপ্রযত্নেন বৈষ্ণবান্ পূজয়েৎ সদা । সর্বং তরতি দুঃখৌঘং মহাভাগবতার্চনাৎ ॥ ইত্যাদি শুদ্ধভক্তপূজা-মাহাত্ম্যময় বহু শাস্ত্রবাক্য দেখা যায়।
কার্যসিদ্ধি,—(৩/৩/৫১ সংখ্যকঃ ব্রঃ সূঃ গোবিন্দভাষ্যধৃত শাণ্ডিল্য-স্মৃতিবাক্য)—“সিদ্ধির্ভবতি বা নেতি সংশয়োঽচ্যুতসেবিনাম্॥ন সংশয়োঽত্র তদ্ভক্তপরিচর্যারতাত্মনাম্ ॥ কেবলং ভগবৎপাদ-সেবয়া বিমলং মনঃ । ন জায়তে যথা নিত্যং তদ্ভক্তচরণার্চনাৎ ॥’’
শ্রীল কবিরাজ গোস্বামী চৈঃ চঃ আদি ১ম পঃ ২০-২১ সংখ্যায়)—“গ্রন্থের আরম্ভে করি মঙ্গলাচরণ। গুরু, বৈষ্ণব, ভগবান্,—তিনের স্মরণ॥ তিনের স্মরণে হয়, বিঘ্ন-বিনাশন। অনায়াসে হয় নিজ-বাঞ্ছিত-পূরণ"।