Normal view
Book Lang.: বাংলা
English
संस्कृता वाक्
Translation

শ্লোক 162

Language: বাংলা
Language: English Translation
  • গারিহস্ত আমি ছাড়িবাঙ সুনিশ্চিত।
    শিখা-সূত্র ছাড়িয়া চলিব যে-তে ভিত।

    কর্মী ও জ্ঞানী সন্ন্যাসিগণ ভোগ পরিত্যাগ করিয়া ত্যাগের আশায় শিখা-সূত্র বর্জন করেন। শ্রীচৈতন্যদেবের শ্রীশিখা পরিত্যাগ -মায়াবাদি-জ্ঞানিগণকে দেখাইবার জন্য ত্রিদণ্ডিগণ শিখা-সূত্র ভগবানের সেবায় নিয়োগ করেন, তজ্জন্য তাঁহারা শিখা সূত্র রাখিয়া মাধ্বগৌড়ীয় বিচারে ‘ত্রিদণ্ড সন্ন্যাস’ গ্রহণ করেন। মাধ্বগৌড়ীয় বিচার অবলম্বন করিয়া শ্ৰীসম্প্রদায়ের ত্রিদণ্ডিভিক্ষু শ্রীপ্রবোধানন্দ সরস্বতী শিখা-সূত্র রাখিয়াছিলেন। শ্রীগদাধর শাখায় বল্লভাচার্য ত্রিদণ্ড গ্রহণকালে শিখা-সূত্র রাখিয়াছিলেন। শ্রীবিষ্ণুস্বামী, শ্রীরামানুজ ও শ্রীনিম্বাদিত্য সকলেরই শিখা-সূত্রযুক্ত সন্ন্যাস। কেবল মাধ্ব সম্প্রদায়ে তীর্থগণের মধ্যে শিখা-সূত্র ত্যাগের ব্যবস্থা আজও প্রচলিত আছে। মাধ্বগৌড়ীয়-বিচারে ব্রজবাসী ষড়্‌ গোস্বামী শ্রীউপদেশামৃতের বিচারে ত্রিদণ্ড সন্ন্যাস গ্রহণ করেন এবং পারমহংস্য বিচারে কাষায় বস্ত্রও কেহ কেহ গ্রহণ করেন নাই, সুতরাং তাঁহাদের পরমহংসাবস্থা জানিতে হইবে। তাই বলিয়া বিবিৎসা-সন্ন্যাসে ত্রিদণ্ডি গণ কাষায় বসন পরিত্যাগ করিবেন না। তাঁহাদের গুরুবর্গ কাষায়-বস্ত্র-ধারণের অন্তর্গত নহেন। কাষায় বস্ত্র সংরক্ষণেও পরমহংসাচারের ব্যাঘাত ঘটে না। শিখাসূত্রসহ পরমহংসগণই শ্রীগৌরচন্দ্রের আশ্রিত পরমহংসপথের পথিক হইয়া শিখা-সূত্র বর্জন করেন না—ইহাই ‘শ্রীচৈতন্যদেবের শিক্ষা’ বলিয়া কথিত।

Page execution time: 0.0423209667206 sec