লঙ্ঘিলে বেদের বাক্য এই শাস্তি হয়।
‘জাতি’ করিয়াও এ গুলার নাহি ভয়॥
অর্বাচীন লোকেরা সামগানের কথা না জানায় বেদশাস্ত্র কীর্তন করেন নাই এবং পরবর্তী কালে কীর্তন-বাদ্যাদির কুপ্রথা সংযুক্ত হইয়াছে—এরূপ ধারণায় তাহারা বেদউল্লঙঘন-জনিত বিধর্মীর হস্ত হইতে এই প্রকার শাস্তি বা দণ্ড বিধানের উপযোগিতা অর্থাৎ বেদনিষিদ্ধ ক্রিয়ার আবাহনকালে সামাজিক-বিচার-সংরক্ষণরূপ জাতি-নাশের আশঙ্কা নাই, স্থির করিতেছিল। সামাজিক বিধি-সংরক্ষণ করিয়া যে জাতিরক্ষা, তদ্বিষয়ে বিশেষ মনোযোগী হওয়াই ‘পরমার্থ’—এরূপ বিচার অর্বাচীনগণেরই।